শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। যে জাতি যত শিক্ষিত, সে জাতি ততই উন্নত ও সভ্য। তবে হতে হবে সুশিক্ষিত। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার আলোই দেশ ও জাতির সফলতার চাবিকাঠি ও পথনির্দেশক। পারলৗকিক কল্যাণের স্বর্ণ দুয়ারে সফলাতার জন্য শিক্ষার বিকল্প নেই। শিক্ষা মানুষকে প্রদান করে সাহায্য ও মর্যাদা। শিক্ষা-দীক্ষা মানুষকে উন্নত থেকে উন্নততর জাতিতে পরিণত করে। মহান আল্লাহ শিক্ষা-দীক্ষা ও জ্ঞানার্জেনের প্রতি পবিত্র কুরআনে মাদ্রাসাহ’ শব্দটি ‘দরসুন’ শব্দ থেকে উদ্গত। অর্থ-পড়াশোনা করা। আরবী ভাষার ব্যাকরণ নাহ্বু অনুসারে ‘‘মাদ্রাসহ’’ শব্দটি দরসে মাকাম। সে মতে, তার আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় পড়াশোনার স্থান, পাঠশালা বা বিদ্যালয়। অতএব যে স্থানে ইলসে দীন কুরআন-সুন্নাহ, তাফসীর, উসূলে তাফসীর, উসূলে হাদীস, ফিকাহ, উসূলে ফিকাহ, ফাসাহাত-বালাগাত, নাহবু- সরফ প্রভৃতি শিক্ষা দেয়া হয়, তাকে সাদ্রাসাহ বলা হয়। ‘‘মাদ্রাসা’’ শব্দটি বাংলাদেশসহ সারাপৃথিবীতে বহুল আলোচিত ও বহুল পরিচিত বই মনের চোখ খুলে দেয়। বই পড়ে জ্ঞানী হই। সনদধারী উচ্চশিক্ষিত লোকের চেয়ে জ্ঞানী মানুষ অনেক বেশী সম্মানিত। শিক্ষকতা শুধু অর্থোপার্জনের জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানী হিসাবে গড়ে তোলাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। কার কত বেশী সার্টিফিকেট আছে বা নেই, এর চেয়েও বড় প্রশ্ন কে কতটা জ্ঞানী।এখন তুমি কলি, ফুল হয়ে ফুটবে একদিন। ফোটার আগে যেন ঝরে না পড়, এজন্য নিজেকে তৈরী কর শক্তভাবে। ফেসবুক, গল্প-আড্ডায় সময় নষ্ট করে নয়। ভবিষ্যতে আয়-রোজগারের চিন্তায় হতাশ হয়ে নয়, বরং নিজেকে তৈরী কর পড়াশুনার মাধ্যমে। যদি হতে পার জ্ঞানী তাহলে তুমিই হবে বাগিচার সেরা ফুল।
এ মাদরাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে।